বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের হানি ট্র্যাপে ফেলে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলম বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে হাজির হয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন। তিনি আদালতের সামনে স্পষ্ট করে বলেন, ‘সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারো সঙ্গে নয়।’
মেঘনার ভাষ্যমতে, সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। তার দাবি, “ঈসা অভিযোগ করেছেন আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি তাকে এসব কথা ছড়াতে নিষেধ করেছিলাম।”
আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে মেঘনা বলেন, ‘আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো আইনজীবী পাব না। এটা কি ন্যায়বিচার?’
এ সময় বিচারক তার বক্তব্য থামিয়ে জানতে চান, মামলার বিষয়ে আর কিছু বলার আছে কি না। মেঘনা জবাব দেন, ‘যা বলার ছিল, বলে দিয়েছি।’
মামলায় তার সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত সানজানা ম্যানপাওয়ারের মালিক দেওয়ান সমিরও আদালতে নিজের নির্দোষতার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘মেঘনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ মানুষ, একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা।’
আদালত মেঘনা ও সমিরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন এবং দেওয়ান সমিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
বিআরইউ