করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে টিকার চতুর্থ ডোজ প্রয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারের কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। বুধবার (৩০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, কারিগরি কমিটি প্রথম ধাপে সম্মুখ সারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও গর্ভবতীদের করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করবে।
শামসুল হক বলেন, আমরা সারাদেশে ৭ দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এ উপলক্ষে টিকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ লাখ ডোজ। ক্যাম্পেইনে মোট ১৭ হাজার ১১৬টি টিম কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে এই পর্যন্ত শিশুসহ মোট জনসংখ্যার ৮৭ শতাংশ প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার। তবে এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মানুষ টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজের বিপরীতে তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৭ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালে দেশে করোনা টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।
গত বছরের শেষের দিকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজের অনুমোদন দেয় ইসরায়েল। ভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রাথমিকভাবে কেবল দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরই টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি।
টিএইচ