স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ধীরে ধীরে আমাদের দেশে ডেঙ্গু কমে যাবে

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩, ০৩:২৯ পিএম

দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমরা চাই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে যাক। জনসাধারণকে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রতিদিনই ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। অনেক সময় দেরি করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক্ষেত্রে রোগীকে তখন চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলাও কঠিন হয়ে যায় এবং অনেক সময় রোগী মারাও যান। সেই জন্য তড়াতাড়ি ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। তবে আমরা আশা করছি, ধীরে ধীরে আমাদের দেশে ডেঙ্গু কমে যাবে’।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চান্দর গ্রামের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ডেঙ্গু স্থিতি আছে। আর ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি আছে। ডেঙ্গু চিকিৎসায় এখন স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দিয়েছিলাম। এর মধ্যে ইতোমধ্যে তিন লাখ ব্যাগ স্যালাইন চলে এসেছে। বাকি চার লাখ ব্যাগ স্যালাইনের চালানও দ্রুত চলে আসবে। প্রতিদিনি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন রিসিভ করছি এবং হাসপাতাল গুলোতে দিয়ে দিচ্ছি। এ ছাড়া বেসরকারি ওষুধ উৎপাদন কোম্পানিগুলো স্যালাইনের উৎপাদন এখন অনেকগুণ বাড়িয়েছে। আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি, তারা মাসে ৫৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করতে পারে’।

‘বর্তমানে প্রতিমাসে ডেঙ্গুর জন্য প্রয়োজন ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন। ডেঙ্গু আক্রান্তের হার যদি বর্তমানের চেয়ে বেড়ে যায় সেই ক্ষেত্রে স্যা্লাইনের প্রয়োজন হবে ৩০ লাখ ব্যাগ। সে কারণে আমি মনে করি, এখন আর সেভাবে ঘাটতি নেই’।  

ডেঙ্গুর টিকা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে এসেই শুনতে পারলাম আইসিডিডিআরবি একটি পরীক্ষামূলকভাবে একটি টিকা তৈরি করেছে। সেটা এখনও পরীক্ষাধীন রয়েছে। তারা বলছে, তাদের এই টিকাটি বেশ কর্যকর। আমাদের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নেব এবং আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করব। যখন পরীক্ষাগুলো শেষ হবে যাবে তখন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নিয়ে আমাদের দেশেও ব্যবহার করত পারব। কিন্তু এই মুহূর্তে বিশ্বের কোনো দেশেই ডেঙ্গুর কার্যকরি টিকা তৈরি হয় নাই’।

‘টিকা নিয়ে গবেষণা কিন্তু বিশ্বব্যাপী চলছে। ইতোমধ্যে দুটি টিকাও আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু সেই টিকাগুলো ব্যবহার হয় না, টিকাগুলোতেও আবার কিছু সমস্যা আছে। চার ধরনের ডেঙ্গু আছে, ভাইরাস আছে। টিকা নিলে দেখা যায় কিছু ভাইরাস দমন হচ্ছে, কিন্তু সব ভাইরাস দমন হয় না। আর যারা একবার ডেঙ্গুর টিকা নিয়েছে তাদেরকে অন্য ভাইরাসে আক্রমণ করলে তাদের অবস্থা বেশি গুরুতর হয়ে যায়। যে কারণে বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর টিকা ব্যবহার হচ্ছে না’।

জাতিসংঘের এবারের সাধারণ অধিবেশনে হওয়া আলোচনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সভা হয়েছে। সারাবিশ্বে করোনা মহামারি হয়েছে, আগামীতে কোনো ধরনের মহামারি এলে তা কি উপায়ে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যক্ষ্মার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের দেশে আগের চেয়ে এখন প্রায় ৫০ ভাগ যক্ষ্মা রোগী কমেছে। আমরা ২০৩০ সালের মধেই যক্ষ্মা শতাভাগ নির্মূল করব। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি’।

আরএস