"আত্নমর্যাদার পরিবেশ,কুষ্ঠ-কলঙ্কের হবে শেষ"-২০২৪ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস উদযাপিত হয়েছে।
রোববার (২৮ শে জানুয়ারি) দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় কুষ্ঠ কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে, লেপ্রোসি এন্ড টিবি কো-অর্ডিনেটিং কমিটি (এলটিসিসি) এবং জাতীয় কুষ্ঠ কর্মসূচি এর যৌথ আয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালী শেষে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল-এর অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (টিবিএল এন্ড এএসপি) ডা: মো. মাহফুজ রহমান সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ডার্মাটোলোজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ এহসানুল কবির জগলুল সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ শাহীন রেজা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ডাঃ শামীম আরা নাজনীন, পরিচালক কুষ্ঠ ও ব্যবস্থাপনা। বিষয়ে বিশেষ আলোচনা উপস্থাপনা করেন ডা: আফজালুর রহমান, উপ-পরিচালক (এমবিডিসি) ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার, টিবি-লেপ্রোসি, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ ও কুষ্ঠ কর্মসূচি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে কুষ্ঠ রোগ ভালো হয়। কুষ্ঠ নিয়ে আমাদের সমাজে এখনও যে কুসংস্কার রয়েছে তা দূর করতে হবে।কুষ্ঠ রোগে ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর পাশাপাশি মধ্যম ও নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ জেলা গুলোর দিকেও সমান কাজ করতে হবে।কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হলে লজ্জার বা ভয়ের কিছু নেই।নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরামর্শ নেয়ার তাগিদ দেন বক্তারা।পাশাপাশি গত বছর জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা "২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠরোগ শূণ্যতে নামিয়ে আনার" ঘোষণাকে সফল করার জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করার জন্য অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে কুষ্ঠ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া কয়েকজন তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।তারা বলেন, কুষ্ঠ রোগে আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি।সঠিক চিকিৎসা পেয়েছি তাই কুষ্ঠ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ। এ ছাড়াও দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ের উল্লেখপূর্বক সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ দেশ ব্যাপী নানান কর্মসূচি পালন করছে।
এইচআর