বিএসএমএমইউ উপাচার্য

দেশে ১৭ হাজার রোগী কিডনি ডায়ালাইসিস করান

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম
ছবি: আমার সংবাদ

বাংলাদেশের ১৭ হাজার রোগী কিডনির ডায়ালাইসিস নিয়ে থাকেন এবং প্রায় তিন হাজার রোগী কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয় বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বলেন, রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের রোগীরা ঘরে বসে ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকেন। নিজেরা ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ব্যথার ওষুধ খেলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে।

শনিবার ‘রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস-এ সুন্দর ভবিষ্যৎ: প্রয়োজন দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং যথাযথ চিকিৎসা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রিউমাটয়েড আর্থাইটিস সচেতনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যখনই কোন মানুষের শরীরে সন্ধিতে ব্যথা অনুভব করবেন, তখনই রিউমাটোলোজি বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। সেখানকার পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। রোগ ধরা পরলে চিকিৎসকের নির্দেশনা মোতাবেক চলাচল করলে এ রোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, ব্যথা নিয়ে ঘরে পরে থাকলে ক্ষতি হবে। এটি এমন রোগ, যা শরীরের অন্যান্য অংশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এমন রোগীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুচিকিৎসা পাবে। নিয়মিত আর্থাইটিসের চিকিৎসা না করলে মানুষ পঙ্গু হয়ে ঘরে বসে থাকবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়।

উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলোজি বিভাগ সুনাম বয়ে আনছে। যারা বেশ ভাল ভাল গবেষণা কাজ করছে। তাদের এ গবেষণার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছে।

ইএইচ