দেশের চক্ষু চিকিৎসা আন্তর্জাতিক মানের: প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম

‍‍`যত্নে রাখি চোখ, দৃষ্টি রাখি ভালো, নতুন দিনের দৃষ্টিপ্রদীপ, একান্নতেই জ্বালো।‍‍` প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির তিন দিন ব্যাপী ৫১তম বার্ষিক জাতীয়  সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান অনেক উন্নত হয়েছে। চক্ষু চিকিৎসার সেবার মান বিশ্বমানের হয়েছে। চক্ষু চিকিৎসা ও হৃদরোগের চিকিৎসা আন্তর্জাতিক মানের হওয়ায় বিদেশ নির্ভরতা কমেছে। দেশের গ্রামীণ জনপদের মানুষের মাঝে চোখের যত্নের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে প্রশাসনিক ভাবে কাজ করতে হবে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্যসেবা নীতির ফলে আজকে দেশের স্বাস্থ্যখাত বিকশিত হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। এটি সরকারের সুদূরপ্রসারী চিন্তা ভাবনার কারণেই সম্ভব হয়েছে। প্রতি ১০টি চোখের ছানি অপারেশনের ১টি অন্তত বিনা পারিশ্রমিকে করতে ডাক্তারদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি সাধারণ মানুষদের মাঝে সচেতনতার পাশাপাশি দরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করানোর আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন,  চিকিৎসকদের অপরাধ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না। অপরাধ প্রমাণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে। যেখানে প্রশাসন, ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্রতিনিধি থাকবে। চিকিৎসক কোন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত কি না তা এই কমিটি তদন্ত করবে। তদন্ত ছাড়া চিকিৎসকদের গ্রেফতার করা হলে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন সংশোধন করতে হবে। বিদ্যমান অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইনের কিছু জটিলতার চাইলেই অঙ্গদান করা সম্ভব যায় না। আইনি জটিলতার কারণে দেশের রোগীরা কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে কিডনি প্রতিস্থাপনে তিন লক্ষ টাকা সেটি পার্শ্ববর্তী দেশে সেটি করতে ত্রিশ লক্ষ টাকার বেশি লাগে। দেশের চিকিৎসকরা এসব রেমিটেন্স ঠেকাতে পারবে যদি এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইনে মানবিক ডোনেশনের ব্যবস্থা করা হয়। নারী চিকিৎসকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম মুকতাদির।

এইচআর