স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, তোমরা স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন কর্মমুখী প্রোগ্রামে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছ সেই হিসেবে তোমাদের কর্মক্ষেত্র তুলনামূলকভাবে সম্প্রসারিত এবং অবারিত৷ তবে, তোমরা শুধু চাকরির পেছনে ছুটবেনা, উদ্যোক্তা হবে, তরুণদের জন্য চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে।
মনে রাখবে এই ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে এক বন্ধুর ও অমসৃণ পথে তোমাদের নতুন যাত্রা শুরু হল। বিষয়ভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে সক্ষমতা ও সম্ভাবনার শতভাগ কাজে লাগিয়ে তোমরা স্বনির্ভর জনসম্পদ হিসেবে নিজেদের গিড়ে তুলবে এবং উন্নত বাংলাদেশ গঠনের অংশীদার হবে বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ্ সায়েন্সেস এর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, একটি কঠিন পথ অতিক্রম করে নিয়মানুবর্তিতা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তোমরা সম্মানজনক সনদ অর্জন করেছ, তবে, এর চেয়েও কঠিন পথ তোমাদের সামনে সমাগত, তোমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই৷ অপরিসীম ধৈর্য ও মেধা শক্তি কাজে লাগিয়ে সেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে তোমাদের পৌঁছাতে হবে৷ নিজেদের দক্ষতা গুনে এবং যোগ্যতা বলে কর্মজীবনে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে আরোহণ করতে হবে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ্ সায়েন্সেস এর উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদুল আলম তার বক্তব্যে গর্বিত গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিরলস শ্রম ও নিষ্ঠা বলে তোমরা কর্মক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দেবে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে৷ তোমরা শুধু কাজ করবেনা, কর্মদক্ষ মানুষ তৈরিতেও সহায়তা করবে এবং নিজেদের মাধ্যমে বিশ্বে সুনাম অর্জন করবে। বিইউএইচেস-এর ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রাখবে৷
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ্ সায়েন্সেস এর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক এন্থনি কস্টেলোসহ সনদপ্রাপ্ত শত-শিক্ষার্থী।
বিআরইউ