মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই নেতা-নেত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন কুয়েতের একদল আইনপ্রণেতা। তারা এক বিবৃতিতে ভারত সরকারের ওপর কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রচার ক্ষেত্রে চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
কুয়েতের এসব সংসদ সদস্য বলেছেন, ভারতের মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন বৃদ্ধির পাশাপাশি মহানবী (সা.)-কে অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় বিশ্বের সব দেশ ও সংগঠনকে এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে।
ভারতের মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধে নানা উপায়ে চাপ বৃদ্ধির কাজটি করতে হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়, ভারত সরকার মুসলমানদের জান-মাল ও পবিত্রতার ওপর আঘাত হানছে যা মেনে নেয়া যায় না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির বা বিজেপি'র জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্বে ছিলেন নূপুর শর্মা। তিনি গত ২৬ মে এক টেলিভিশন বিতর্কে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
বিজেপির দিল্লি শাখার তৎকালীন গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দালও মহানবী (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। তিনি টুইটারে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
বিজেপির দুই নেতার অবমাননাকর মন্তব্যে দেশ-বিদেশে নিন্দা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভারতজুড়ে বিক্ষোভ দেখায় মুসলমানেরা। কোথাও কোথাও বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়, হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় আরব ও মুসলিম বিশ্ব। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানসহ বিভিন্ন দেশ ভারতের রাষ্ট্রদূতদের তলব করে প্রতিবাদ জানায়। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি-ও এই অবমাননাকর মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে।
ইএফ