রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার আসন্ন তেহরান সফরে ইরানের কাছ থেকে ড্রোন কেনা নিয়ে কোনো আলোচনা করবেন না। এ খবর জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি (১৩ জুলাই) মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন।
একজন পশ্চিমা সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, পুতিন তার তেহরান সফরে ড্রোন নিয়ে কোনো আলোচনা করবেন কিনা। উত্তরে পেসকভ বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের আলোচ্যসূচিতে ড্রোন ইস্যু রাখা হয়নি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চলমান পশ্চিম এশিয়া সফরের আগে গত সোমবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ইরানের কাছ থেকে শত শত ড্রোন কেনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রগুলো উদ্ধৃত করে সুলিভান দাবি করেন, তেহরান রুশ বিশেষজ্ঞদেরকে ড্রোন পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।তিনি বলেন, ইরান এরইমধ্যে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ শুরু করেছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এছাড়া, হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সমন্বয়ক জন কিরবি মঙ্গলবার সিএনএনকে বলেন, রাশিয়াকে ইরানের পক্ষ থেকে ড্রোন সরবরাহের ঘটনা পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সংলাপে প্রভাব ফেলবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।তবে ইউক্রেন যুদ্ধে ওয়াশিংটন কিয়েভকে যে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তার ওপর এ ঘটনা নিশ্চিতভাবে প্রভাব ফেলবে।
আমেরিকা এমন সময় রাশিয়াকে ইরানের পক্ষ থেকে ড্রোন সরবরাহের কথিত ঘটনাকে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়ার চেষ্টা করছে যখন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের সহযোগিতা চুক্তিগুলো ইউক্রেন যুদ্ধের আগে স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এক্ষেত্রে নতুন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে ইরান নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছে এবং তেহরান তার এ নীতি সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে বলে জানান কানয়ানি। সূত্র: পার্সটুডে
এবি