মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে গিয়েছেন। জেদ্দায় ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানসহ ঊর্ধ্বতন সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
প্রিন্স সালমানের সঙ্গে বৈঠকে তুরস্কে হত্যাকাণ্ডের শিকার সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার বিষয়টি তুলে ধরেন জো বাইডেন। এ সময় তিনি সৌদির মানবাধিকার ও রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করেন। সুত্র: আল জাজিরা।
বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাইডেন বলেন, আমি তাদের স্পষ্ট করে দিয়েছি যে মানবাধিকারের বিষয়টি আমার ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে আমি খাশোগি হত্যার বিষয়টি উত্থাপন করেছি।
আমি আগেও বিষয়টি নিয়ে ভেবেছিলাম। এখন পরিষ্কার করে দিয়েছি, বিষয়টি নিয়ে আমি কী ভাবছি। তিনি আরও বলেন, একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট মানবাধিকারের ইস্যুতে নীরব থাকতে পারেন না।
এদিকে, বাইডেনের সৌদি সফর ও সালমানের সঙ্গে তার বৈঠকের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর নানা রকম সমালোচনা শুরু হয়। সৌদিকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার যে বাণী বাইডেন দিয়েছিলেন, সে ব্যাপারেও নানা প্রশ্ন তাকে চেপে ধরে।
শুক্রবার ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর সফর শেষে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাইডেন। এদিন বিকেলে সালমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তার।
জেদ্দায় আগমনের পর আল সালমান প্রাসাদে তাকে স্বাগত জানান সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের এমন অভিব্যক্তি কার্যত প্রমাণ করে নিজেদের স্বার্থেই সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে।
জামাল খাশোগি হত্যার বিষয়টি পাশে ঠেলে দিলে দেখা যায়, তেল বাণিজ্যের ব্যাপারে অম্ল সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে মধুর সম্পর্কের দিকে গিয়ে যাচ্ছেন বাইডেন। কারণ, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকট।
আগে রাশিয়া থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করত যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে দেশটি থেকে বর্তমানে জ্বালানি নিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে তেল রফতানিতে মধ্যপ্রাচ্যের এক নম্বর দেশ সৌদি।
যে কারণে রিয়াদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রচেষ্টা প্রতীয়মান।এসব বিষয় বাদের সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আধিপত্য হ্রাস করা নিয়েই বাইডেন সৌদি আরব সফর করছেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
আমারসংবাদ/টিএইচ