বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এছাড়া নির্বাচন নিয়ে তারা নিজেরা কোনো মন্তব্য না করে জনগণের মতামতে এই নির্বাচন বিশ্লেষণ করতে আগ্রহী।
শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে গুলশানে অনুষ্ঠিত সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজের একটি সম্মেলনে একথা জানান চার্লস হোয়াইটলি। তিনি বলেন, আগামী দশকে বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়াতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
একইসঙ্গে একটি স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরামর্শ দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইইউ’র অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর এ চৌধুরী ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জিল্লুর রহমান।
চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশর আঞ্চলিক অস্থিরতা নিয়ে শঙ্কা আছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। অস্থিরতা নিরসনে সার্ক ও বিমসটেক কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও এই অঞ্চলে সকলের অবস্থান শক্ত করতে ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্রাটেজিকে গুরুত্ব দিচ্ছে ইইউ।
তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আইসিজে, আইসিসি যদিও সঙ্কট সমাধানে কাজ করছে তবুও আমরা সবসময়ই বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করে যেতে চাই।
যদিও ইউক্রেনে পরিস্থিতির কারণে শরনার্থীর সংখ্যা পুরো বিশ্বেই বেড়ে যাচ্ছে। তবুও আমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তরিকভাবেই কাজ করে যেতে চাই।
আমারসংবাদ/টিএইচ