গণতান্ত্রিক কঙ্গোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জাতিসংঘ-বিরোধী বিক্ষোভের সময় বড় রকমের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ৩ সদস্য রয়েছে। এ ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী সদস্যদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়তে পারে।
সোমবার থেকে কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশের প্রধান শহর গোমায় জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা কার্যক্রম-বিরোধী শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, কঙ্গোয় কয়েক দশক ধরে চলে আসা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দাঙ্গা থামাতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে। এসব শান্তিরক্ষী অহেতুক দেশে অবস্থান করছে যার কোনো প্রয়োজন নেই। সোমবার বিক্ষোভ শুরু হয়ে গতকাল তা দেশের উত্তরাঞ্চলে বেনি এবং বুটেম্বো শহরে ছড়িয়ে পড়ে।
সরকারি মুখপাত্র প্যাটট্রিক মুয়াইয়া জানান, গোমা শহরে পাঁচজন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে, বুটেম্বো শহরে মারা গেছে সাতজন বেসামরিক নাগরিক। এই শহরেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর এক সদস্য এবং জাতিসংঘের দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে বলেছে, কঙ্গো পুলিশের কাছ থেকে বিক্ষোভকারীরা অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় এবং শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর গুলি চালায়। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা শান্তি রক্ষী বাহিনীর ঘাঁটির উপর পাথর এবং ককটেল বোমা ছুঁড়ে মারে। এক পর্যায়ে তারা ঘাঁটিতে লুটপাট চালায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব এই ঘটনার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ মুখপাত্র ফারহান হক জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের হামলার মুখে ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের পরামর্শ দেয়া হয়।
ইএফ