বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর। এই সন্দেহের বশে স্ত্রীকে গলায় ওড়ানায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী। সেই সময় বন্ধ ঘরের বাইরে থেকে মাকে বাঁচানোর প্রাণপন চেষ্টা করে দুই মেয়ে। কিন্তু বাঁচাতে পারেনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে সে। ভারতের দুর্গাপুরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সিএমআরআই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
বেশ কয়েক বছর আগে ওই এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ আকিলের সঙ্গে নুরি পারভিনের বিয়ে হয়। মহম্মদ আকিল পেশায় একজন গাড়িচালক। দুই মেয়েও রয়েছে দম্পতির। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিকঠাকই চলছিল।
তবে ইদানীং নুরি পারভিনকে সন্দেহ করছিলেন মহম্মদ আকিল। সে মনে করত, মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার পর অন্য পুরুষের সঙ্গে দেখা করতেন নুরি। যদিও নুরি স্বামীর অভিযোগ বারবার খারিজ করেছেন। তা নিয়ে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত।
গেলো সোমবার সকালে দুই মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন নুরি। তাতে বাধা দেয় মহম্মদ আকিল। জোর করে মেয়েদের নিয়ে স্কুলে উদ্দেশে রওনা দেওয়ার চেষ্টা করেন গৃহবধূ। তাতে ঝগড়াঝাটি আরও বড়সড় আকার নেয়। মহম্মদ আকিল রাগের মাথায় জোর করে তার স্ত্রী নুরি পারভিনকে ঘরের ভিতরে ঢোকায়। দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে শ্বাসরোধ হয়ে নুরির মারা যায়।
এদিকে, মায়ের উপর হামলায় সময় বন্ধ ঘরের বাইরে ছিল দুই মেয়ে। ঘরের বাইরে থেকে মাকে বাঁচানোর প্রাণপন চেষ্টা করে তারা। এরপর প্রতিবেশীদের সাহায্যে মাকে বাঁচানোরও চেষ্টা করে দুই বোন। তবে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই সব শেষ।
এরপর তাঁরাই দুর্গাপুর থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নুরিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকেরা নুরি পারভিনকে মৃত বলে জানান। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী মহম্মদ আকিলকে আটক করেছে। মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে দুই নাবালিকা। সূত্র- সংবাদপ্রতিদিন
এআই