চেয়ারে বসার পরপরই মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল আনলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সময়কার প্রভাবশালী মন্ত্রীদের বাদ দিয়ে নিজের প্রধান সহযোগীদের শীর্ষ পদে জায়গা দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেন ট্রাস। এ সময় তাকে নতুন সরকার গঠনের অনুমোদন দেন রানি।
কোয়াসি কোয়ার্টেংকে নতুন অর্থমন্ত্রী, জেমস ক্লিভারলিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রীতি প্যাটেলের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু থেরেসি কফি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
তবে লিজ ট্রাসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাককে সমর্থনকারীদের কেউ তার মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। এরমধ্যে রয়েছেন ডমিনিক রাব, গ্রান্ট শ্যাপস, জর্জ ইউস্টিস ও স্টিভ বার্কলে।
ট্রাসের প্রেস সেক্রেটারি বলেন, মন্ত্রিসভার এই রদবদল টোরি পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করবে।
এদিকে নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে টম টুগেনধাত, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে কেমি ব্যাডেনোচ, হাউস অব কমন্সের নেতা হিসেবে পেনি মরডান্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ চারটি অফিস-অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপদ কোনো শ্বেতাঙ্গের হাতে নেই।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনকলে দেশটির প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।
পরে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তারা ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্যনীতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন লিজ ট্রাস। ট্রাসের পক্ষে ৮১ হাজার ৩২৬ জন টরি সদস্য আর সুনাকের পক্ষে ৬০ হাজার ৩৯৯ জন ভোট দেন। ফলে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়ে ডাউনিং স্ট্রিটে জায়গা করে নেন ট্রাস।
সূত্র : বিবিসি
টিএইচ