বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে কেন্দ্রের তরফে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিজেপি সরকার সেটা করতে দেয়নি’।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যখনই আমাকে কোনো বিদেশি দেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়, মোদি সরকার আমাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। মোদি সরকার কেনো বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার দেখা করা নিয়ে এত চিন্তিত! বিজেপি ভয় পেয়েছে। সে কারণেই তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করছে।
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাও মমতার সঙ্গে নয়াদিল্লিতে দেখা করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, মমতা সঙ্গে আমার সম্পর্ক রাজনীতির ঊর্ধ্বে। তিনি আমার বোনের মতো। আমি এবার দিল্লিতে তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
রাজ্যটিতে আগামী বছর তিনস্তরের পঞ্চায়েত নির্বাচন। এ নির্বাচনের প্রস্তুতি সভা হিসেবেই কলকাতার নেতাজি ইনডোরে দাঁড়িয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি ভয় পেয়ে গেছে। সে কারণেই তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন নেতার গ্রেফতার প্রসঙ্গে মমতা এদিন বলেন, ‘কোনো লাভ হবে না। তৃণমূল কংগ্রেস মা, মাটি ও মানুষের সরকার। ভয় দেখিয়ে কিছু করতে পারবে না কেউ। বিজেপি যদি ভাবে যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতাদের গ্রেফতার করে দলের কর্মীদের ভয় দেখানো যাবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে। আমি আঘাত করি না, কিন্তু কেউ আঘাত করলে প্রতিহত করি।’
দলের কেউ কোনো অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে বলে জানান মমতা।
দুর্গাপূজাকে ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করায় ইউনেস্কো কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সমাবেশে ইউনেস্কোর ডাকে বার্লিনের সভায় যোগ দেয়ার বিষয়টিও তোলেন মমতা।
কেন্দ্রীয় সরকার আপিল করে দেশ-বিদেশের অনেক অনুষ্ঠান ও সভায় যেতে দেয় না বলে অভিযোগ করে মমতা বলেন, ‘এতে কোনো লাভ হবে না। কারণ, পশ্চিমবঙ্গজুড়ে যা আছে, সেটা ঘুরে দেখলেই আমার গোটা বিশ্ব দেখা হয়ে যাবে।’
ইএফ