মিয়ানমারের উত্তরের সাগাইং অঞ্চলে একটি স্কুলে সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত ১১ শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়া আরো ১৫ টি শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে সেখানে গুলি চালানো হয় বলে বিভিন্ন সূত্র আজ জানিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার। সেদিন সেনাবাহিনী `লেত ইয়েত কোন` গ্রামে মন্দির পরিচালিত একটি স্কুলে গুলি চালায়।
স্কুলে হামলার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্রোহীরা ওই স্কুলে লুকিয়ে আছে এমন খবর পাওয়ার পর তারা সেখানে অভিযান চালায়। ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের বয়স ছয় থেকে ১৪ বছরের মধ্যে।
ইউনিসেফের পক্ষ থেকে বলা হয়, আকাশ থেকে ‘নির্বিচারে গুলি চালিয়ে’ ওই শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। সংস্থাটি থেকে নিখোঁজ ১৫ শিশুকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইউনিসেফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এখনো বিস্তারিত অনেক তথ্য যাচাই করা বাকি আছে। তবে স্কুলকে অবশ্যই নিরাপদ রাখতে হবে। কোনো কারণেই কখনো শিশুদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা যাবে না।
গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার কে উৎখাত করে পুনরায় মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। তারপর থেকে জান্তা সরকার বিরোধী বিক্ষোভে দেড় হাজারের বেশি সাধারণ মানুষের প্রাণ গেছে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন বিদ্রোহী দলের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে।
ইএফ