নিরাপত্তা না থাকায় লেবাননের ব্যাংকগুলো `অনির্দিষ্টকালের জন্য` বন্ধ থাকবে বলে বলে জানিয়েছে দেশটির ব্যাংক এসোসিয়েশন।
গত সপ্তাহে লেবাননে বেশ কয়েকটি ব্যাংকে কয়েকজন গ্রাহক আটকে থাকা সঞ্চয়ের অর্থ তোলার জন্য নানাভাবে ঘেরাও করেছে। সে প্রেক্ষাপটে লেবাননের ব্যাংক এসোসিয়েশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।
ব্যাংক এসোসিয়েশন বলছে, তাদের কর্মীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং এই ঝুঁকি কমানোর জন্য সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
গত সপ্তাহে তিনদিন ব্যাংক বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে ব্যাংক খোলার কথা ছিল।
এর আগে গত সপ্তাহে এক নারী খেলনার পিস্তল নিয়ে একটি ব্যাংকের ভেতরে গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে গিয়ে তিনি ব্যাংকে গচ্ছিত তার সঞ্চয়ের অর্থ তুলতে চান।
কারণ তার পরিবারের একজন সদস্য হাসপাতালে ছিলেন এবং তিনি হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে পারছিলেন না।
সঞ্চয়ের টাকা তোলার জন্য এ ধরণের ঘটনা আরো ঘটেছে। গত শুক্রবার একদিনেই এ ধরণের পাঁচটি ঘটনা ঘটে।
লেবানন এখন চরম আর্থিক সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ খাদ্য এবং ঔষধ কেনার জন্য সংগ্রাম করছে।
মানুষজন তদের সঞ্চয়ের অর্থ ফেরত পাবার জন্য যেভাবে ব্যাংকের ভেতরে গিয়ে অবস্থান নিয়েছে, সেটি সমর্থন করছে সাধারণ মানুষ।
ব্যাপক হতাশা এবং ক্ষোভ থেকে সাধারণ মানুষ এসব কাজ করছে বলে মনে করা হয়।
এসব মানুষ আগে কখনো অপরাধ করেনি এবং ব্যাংক থেকে অর্থ তুলতে না পারার কারণে তারা নানা ধরনের বিল পরিশোধ করতে পারছে না।
২০১৯ সাল থেকে ব্যাংকগুলো ডলার উত্তোলনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কারণ তখন থেকেই লেবাননের মুদ্রা পাউন্ডের ব্যাপক দরপতন হয় এবং জিনিসপত্রের দাম ব্যাপক বেড়ে যায়।
গত অগাস্ট মাসে এক ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে একটি ব্যাংকের ভেতরে অবস্থান নেন এবং তার সঞ্চয়ের টাকা দাবি করেন।
এক পর্যায়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেটি দিতে বাধ্য হয় এবং তিনি নিজের সঞ্চয়ের ৩৫ হাজার পাউন্ড নিয়ে বেরিয়ে আসেন।
সেই ঘটনা অনেকের দৃষ্টি যেমন আকর্ষণ করেছে, তেমনি জনসমর্থনও পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা করা হয়নি।
ইএফ