পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খানকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তার এক পায়ে গুলি লেগেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বরাতে এ খবর দিয়েছে স্কাই নিউজ।
স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার গুজরানওয়ালায় লংমার্চ নিয়ে বেরিয়েছিলেন ইমরান খান। এ সময় পর পর এলোপাতারি গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে চারিদিক। ইমরানকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়।
তার পায়ে গুলি লেগেছে। আহত হয়েছেন এক শিশু-সহ আরও পাঁচজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইমরানের দলের নেতা ফয়জল জাভেদও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে হামলাকারী যুবককে আটক করেছে উপস্থিত জনগণ। এ সময় অভিযুক্তকে কিল-চড়-ঘুষিও মারতে থাকে ক্ষুব্ধ জনতা। এর পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনাস্থল ছাড়ে।
[238911]
পুলিশ জানিয়েছে, ইমরান এবং বাকি রাজনৈতিক দলের নেতাদের লক্ষ্য করে মোট ছয় রাউন্ড গুলি চালায় ওই যুবক। ওই যুবক একাই ওই হামলা চালিয়েছিল। তবে অভিযুক্তকে আর কেউ সাহায্য করেছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পিটিআই মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ওয়াজিরাবাদে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ করছিলেন তিনি।সেখানে তাকে লক্ষ্য করে তিন থেকে চারটি গুলি করেছেন অজ্ঞাত এক বন্দুকধারী।
এতে ইমরান খান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার পায়ে গুলি লেগেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাকিস্তানের একটি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, হামলায় সিনেটর ফয়সাল জাভেদ ও আহমেদ চট্টাসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
টিএইচ