ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ইউরোপে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে বহুগুণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২, ০৯:৪০ পিএম

চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে ব্যাপকভাবে। ইউরোপের দেশগুলো আমেরিকা থেকে ২৩ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সুইডেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা সিপরি’র তথ্যমতে- ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ তাদের চাহিদার ৫০ ভাগের বেশি অস্ত্র আমেরিকা থেকে কিনেছে। এরমধ্যে নরওয়ে তার মোট অস্ত্রের ৮৩ ভাগ আমেরিকা থেকে কিনেছে, ব্রিটেন ৭৭ ভাগ, ইতালি ৭২ ভাগ এবং নেদারল্যান্ড কিনেছে ৯৫ ভাগ। আগের পাঁচ বছরের তুলনায় ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়ে ইউরোপের দেশগুলো আমেরিকা থেকে শতকরা ১৯ ভাগ বেশি অস্ত্র কিনেছে।

সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান রিফর্ম-এর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক পরিচালক ইয়ান বন্ড বলেন, “শীতল যুদ্ধ অবসানের পর এটি নিশ্চিতভাবে প্রতিরক্ষা খাতে ইউরোপের অনেক বেশি ব্যয় বৃদ্ধির ঘটনা।”

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো আমেরিকা থেকে অস্ত্র কেনা বাড়িয়েছে এবং তারা নতুন করে ২৩ হাজার কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র কিনবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এর মধ্যে শুধু জার্মানি একাই তার সামরিক সরঞ্জাম আধুনিকায়নের জন্য আমেরিকা থেকে ১০ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র কিনবে।

২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যে ২০ হাজার ১০০ কোটি ডলারের মোট অস্ত্র বিক্রি হয়েছে তার শতকরা ৩৯ ভাগ আমেরিকা একাই বিক্রি করেছে। এই দেশটি অস্ত্র বিক্রি খাতে সব দেশের শীর্ষে অবস্থান করছে।

তবে ইউরোপে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে আমেরিকা সব খাতে এগিয়ে নেই। ইউরোপের দেশগুলো ট্যাংকের জন্য জার্মানির উপর বেশিভাগ নির্ভর করে, গোলাবারুদের জন্য ফ্রান্স এবং সাবমেরিনের জন্য জার্মানি, ফ্রান্স অথবা ব্রিটেনের ওপর নির্ভর করে। ইউরোপের দেশগুলো আমেরিকা থেকে এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। সূত্র: পার্সটুডে

এবি