আর্কটিক থেকে ধেয়ে আসা শীতকালীন ঝড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় নিহত বেড়ে ৬৩ জনে দাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো কাউন্টির বাসিন্দা। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সেখানে ২৮ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। এদের অনেকের মরদেহ মিলেছে গাড়ি কিংবা রাস্তার ধারের বরফের স্তূপে।হাজার হাজার মানুষ এখনও বিদ্যুৎবিহীন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোতে ৩০ জন সহ দেশটিতে শীতকালীন ঝড় ও তুষারপাতে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঠাণ্ডায় জমে মৃত্যু হচ্ছে অনেকের। আটকা পড়া এসব গাড়ি থেকে থেকে একের পর এক মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। বাফেলোতে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে।
এছাড়া সড়কে গাড়ি চালানোতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে অভিযোগ আছে, সড়কে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিতে দেরি করেছে কর্তৃপক্ষ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গেল কয়েকদিনে বাতিল হয়েছে ২০ হাজার ফ্লাইট। নিউ ইয়র্কের বাইরে বাকি ১১টি অঙ্গরাজ্যে আরও অন্তত ২৫জনের প্রাণহানি হয়েছে।
এবারের অভূতপূর্ব এ শীতকালীন ঝড় কানাডা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের রিও গ্রান্দে নদী পর্যন্ত তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ঝড় থেমে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হলেও প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ এখনো বলবৎ আছে।
তীব্র এ শীতকালীন ঝড় বিস্তৃত এলাকার জীবনযাত্রা স্তব্ধ করে রাখলেও লোডশেডিং পরিস্থিতির ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। একপর্যায়ে ১৭ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন থাকলেও রোববার সেই সংখ্যা ২ লাখের নিচে নেমে এসেছে বলে নিউইয়র্কভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে।
বাফেলোর অধিবাসী নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল বলেন, ‘ইতিহাসে এটি বাফেলোর সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঝড় হিসেবে বিবেচিত হবে। মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধক্ষেত্র, সড়কগুলোতে পড়ে থাকা গাড়ি দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। এক একটা যেন বরফের গম্বুজ।’
এআই