চীনফেরতদের ওপর কোভিড বিধি-নিষেধের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৭:৩৭ পিএম

চীনের কঠোর কোভিড বিধিনিষেধ হঠাৎ তুলে নেয়ার ফলে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চীনের করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছিলেন, ‘চীনের জিডিপি ও এর অর্থনীতির যে আকার তাতে ভাইরাসের সংক্রমণ চীনসহ বিশ্বের বাকি দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের বিষয়।’

এরমধ্যেই আগামী মাস থেকে সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী যাত্রীদের ওপর নতুন করে কোভিড সংশ্লিষ্ট বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি ভাবছে মার্কিন প্রশাসন। খবর: বিবিসি’র।

মার্কিন প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, চীনে করোনা বাড়া সত্ত্বেও এ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে দেশটির স্বচ্ছতার ঘাটতির কারণে নতুন বিধিনিষেধের কথা ভাবা হচ্ছে। চীন অবশ্য বলছে, তাদের দেশে ‘বিজ্ঞানভিত্তিক’ কোভিডনীতিই মানা হচ্ছে।

এরই মধ্যে চীনফেরত ব্যক্তিদের ওপর বিশেষ কড়াকড়ি আরোপ করেছে জাপান, মালয়েশিয়া ও তাইওয়ান। ভারতও শিগগিরই চীনফেরত যাত্রীদের বেলায় বিশেষ বিধিনিষেধ চালু করবে বলে জানিয়েছে। তবে চীনের সীমান্ত খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা প্রকাশের আগেই ভারত এটি জানিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চীনে কোভিড-১৯ বেড়ে যাওয়ায় এবং দেশটিতে ভাইরাল জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্যের ঘাটতির ফলে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে।’

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলো এবং পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমকে দোষারোপ করেছেন। চীনের কোভিড নীতিমালার অংশ তুলে ধরে হাইপ ওঠানো হচ্ছে।

অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি বলেছে, তারা গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে এখনই চীন থেকে আগতদের ওপর নতুন কোনো বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে না তারা।

টিএইচ