পাকিস্তানে বিলাসবহুল পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, নিষিদ্ধ পাঁচ তারকা হোটেলও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৭:২১ পিএম

ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তান। সম্প্রতি বন্যা দেশটিকে আরও বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়। এ অবস্থায় অর্থ সাশ্রয়ের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার।

বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ দাবি করেছেন, তারা যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছেন তা বছরে ২০০ বিলিয়ন রুপি সাশ্রয়ে সহায়তা করবে।  এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন।

ডন বলছে, এই ঘোষণাটি এমন সময়ে এলো যখন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্প্রতি ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়।  এরপর থেকেই অর্থনৈকিত পুনরুদ্ধারে বেশ লড়াই শুরু হয়েছে দেশটিতে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ব্যবহৃত সব বিলাসবহুল গাড়ি বাতিল করে নিলামে তোলা হবে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে মন্ত্রীদের নিরাপত্তায় একটি মাত্র গাড়ি দেওয়া হবে।  মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টারা স্বেচ্ছায় তাদের বেতন-ভাতা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  এখন থেকে সব মন্ত্রী তাদের নিজস্ব টেলিফোন, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের বিল পরিশোধ করবেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জানান, ফেডারেল মন্ত্রীরা অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ বা বিদেশে যাওয়ার সময় ইকোনমিক ক্লাসে ভ্রমণ করবেন।  সাপোর্ট স্টাফদের আর রাষ্ট্রীয় সফরে যেতে দেওয়া হবে না এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা বিদেশ সফরের সময় পাঁচতারকা হোটেলে থাকতে পারবেন না।

অন্যতম অর্থনৈতিক সংস্কারের মধ্যে রয়েছে- মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও উপ-বিভাগের বর্তমান ব্যয় ১৫% কমানো হবে। এ সিদ্ধান্তের আলোকে সংশ্লিষ্ট প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা তাদের বাজেটে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করবেন।

২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী বছর পর্যন্ত বিলাসবহুল পণ্য কেনার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পাকিস্তান। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সব ধরনের নতুন গাড়ি কেনার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেসব সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন, যারা ইতোমধ্যে গাড়ি মনিটাইজেশন সেবা নিয়েছেন সেগুলো ফেরত আনা হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের আর নিরাপত্তার গাড়ি দেওয়া হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি পরিস্থিতির বিবেচনা করে কেস-টু-কেস ভিত্তিতে নিরাপত্তা গাড়ি সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

আরএস