উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবেলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউল একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
যার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় পরমাণুসজ্জিত সাবমেরিন মোতায়েন এবং সিউলকে তার পারমাণবিক পরিকল্পনা কার্যক্রমে যুক্ত করতে সম্মত হয়েছে ওয়াশিংটন। বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়া কোনো ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না বলে সম্মত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন ঘোষণা’ নামে চুক্তিটি উত্তর কোরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধে মিত্রদের সহযোগিতাকে শক্তিশালী করবে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউলের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার সহযোগিতা ও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান ইউন সুক–ইউন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ঘোষণাকে এই সফরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘোষণা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বর্ধিত প্রতিরোধ বাড়ানোর জন্য এটিকে একটি ‘অভূতপূর্ব’ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এর ফলে পারমাণবিক অস্ত্রসহ যেকোনো হামলা ঠেকাতে মিত্রদেশকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সামরিক শক্তি ব্যবহার করবে।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি নিয়ে উভয় দেশের মধ্যেই উদ্বেগ বাড়ছে। পিয়ংইয়ং এমন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে যা দক্ষিণ কোরিয়াকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে, এর দূরপাল্লার অস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম।
মার্কিন প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, নতুন চুক্তিটি বেশ কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনার ফলাফল। পারমাণবিক পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনার জন্য উভয়পক্ষ একটি পারমাণবিক পরামর্শক গ্রুপও তৈরি করবে।
এআরএস