খোঁজ মিলছে না ওয়াগনার প্রধানের

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩, ০৯:০২ পিএম
রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন

রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বিদ্রোহের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি মামলা সচল রয়েছে এবং এই মামলার তদন্ত চলছে। সোমবার রাশিয়ার দৈনিক কমার্স্যান্ট ও অন্তত তিনটি প্রধান সারির সংবাদ সংস্থা অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াগনার প্রধানের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তের খবর দিয়েছে।

মস্কো থেকে সাংবাদিক ইউলিয়া শাপোভালোভা বলেছেন, এই মুহূর্তে, প্রিগোজিনের অবস্থান অজানা। তবে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে কী ঘটে। এটা বেশ রহস্যময়। এটাকে সম্ভবত রাশিয়ার জাতীয় তদন্ত কমিটি ও গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির ব্যাপক অবাধ্যতা বলা যেতে পারে।

সোমবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু লুহানস্কে সম্মুখসারির সৈন্যদের সাথে দেখা করেছেন। চরম অস্থিতিশীলতার মাঝে ইউক্রেনে যুদ্ধরত সৈন্যদের সাথে তার সাক্ষাৎ পদত্যাগের তত্ত্বগুলো উড়িয়ে দিচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সামরিক প্রধানদের সাথে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে তার বাহিনীকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কমান্ড কাঠামোর আওতায় আনতে চাওয়ায় তার এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য বিদ্রোহে রূপ নেয়।

শনিবার ওয়াগনারের যোদ্ধারা অধিকৃত পূর্ব-ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্তভ-অন-দনে ঢুকে পড়েন। তারপর মস্কোর পথে ভরোনেজ হয়ে মূল সড়কপথ ধরে অগ্রসর হতে থাকেন। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় ওয়াগনার কমান্ডার ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বেলারুশে চলে যাবেন বলে জানায় ক্রেমলিন। কিন্তু চুক্তিতে পৌঁছানোর পর থেকে ওয়াগনারের এই কমান্ডারের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

দেশটির দৈনিক কমার্স্যান্ট বলেছে, ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাটি সচল করা হয়েছে এবং ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) মামলার অংশ হিসাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। একটি অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির এই সংবাদমাধ্যম বলেছে, মামলাটি স্থগিত করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়নি।

রাশিয়ার তিনটি প্রধান সংবাদ সংস্থা— তাস, আরআইএ এবং ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চালু করা হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে তাস বলেছে, প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি মামলাটি স্থগিত করা হয়নি। তদন্ত চলমান রয়েছে। রাশিয়ার আইনে এই ধরনের অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির ১২-২০ বছরের সাজা হতে পারে।

শনিবার রাতের দিকে রোস্তভ শহর ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ওয়াগনার প্রধানকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। চুক্তির বিষয়েও তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।

আরএস