আহমেদ ইয়াসিন হিলাল গিথান নামে এক ফিলিস্তিনির গুলিতে ইসরায়েলের একজন সেনা নিহত হয়েছেন। পরে ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টা গুলিতে তিনিও নিহত হন।
শুক্রবার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি অবৈধ বসতির কাছে এই ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতির কাছে গুলি চালিয়ে একজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। এর আগে, ওই ফিলিস্তিনি এক ইসরায়েলি সেনাকে গুলি করে হত্যা করে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, আহমেদ ইয়াসিন গুলি চালিয়ে একজন ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা করেছে। তারপর তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এবং পরে তাকে চিহ্নিত করে হত্যা করা হয়।
আহমেদ ইয়াসিন হিলাল গিথান পশ্চিম তীরের রামাল্লার পশ্চিমে কিবিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।
এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস বলেছে, চলতি সপ্তাহে জেনিনে ইসরায়েলের দুদিনের সামরিক আক্রমণের জবাবে বৃহস্পতিবারের এই হামলা চালানো হয়। তাদের একজন সদস্য এই হামলা চালায়।
হামাস বলেছে, শত্রুরা এটা জানবে যে, জেনিনে চালানো ইসরায়েলি গণহত্যা আমাদের জনগণের প্রতিরোধের প্রতি জেদ বাড়িয়েছে। মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের কাজের প্রতি তাদের আনুগত্যও বাড়িয়েছে।
যেখানে গোলাগুলি হয়েছে সেখানে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ থাকেন। তিনি পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনারও তত্ত্বাবধান করেন, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।