টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিপর্যস্ত পাকিস্তানে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে দেশটিতে কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে প্রাণহানির সংখ্যা ৭৬ জনে পৌঁছেছে। দেশজুড়ে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৩৩ জন। রোববার পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।
এনডিএমএ বলেছে, প্রবল বর্ষণের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর ফলে বৃষ্টিপাতের প্রাণহানির সংখ্যা ৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। এ নিয়ে মোট আহত হয়েছেন ১৩৩ জন। হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। দেশজুড়ে প্রবল বর্ষণ অব্যাহত থাকায় এখন পর্যন্ত ৭৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেশটির এই জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, তুমুল বৃষ্টিপাতের কারণে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে পাঞ্জাবে। দেশটির এই প্রদেশে অন্তত ৪৮ জন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ২০ জন ও বেলুচিস্তানে পাঁচজন মারা গেছেন।
পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৬ জুলাই কেবল পাঞ্জাবেই ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রদেশটির কিছু অংশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। প্রবল বর্ষণের কারণে গত দুদিনে পাঞ্জাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনডিএমএ ৩ থেকে ৮ জুলাই সারা দেশে বর্ষা মৌসুমের প্রথম পর্বের পূর্বাভাস জারি করে। ওই সময় জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বর্ষা মৌসুমের জন্য জরুরি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে।
সংস্থাটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ থেকে ৮ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্ষা মৌসুমের প্রথম পর্বে বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে বলা হয়, ভারী বর্ষণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস এবং নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতিও দেখা দিতে পারে।
এআরওয়াই নিউজ বলেছে, প্রত্যাশিত আবহাওয়ার পরিস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষ বৃষ্টিপাত নিয়ে জরুরি পরিকল্পনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আরএস