ইউক্রেনীয় বাহিনী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে পরিণত হচ্ছে: পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪, ০৫:২০ পিএম

পৃথিবীর শক্তিশালী দেশ রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় শহরে কিয়েভের বাহিনী হামলা চালিয়েছে । এতে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়। এ হামলায় আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন। লিসিচানস্ক নামে একটি শহর এ হামলার শিকার হয়।

এ ঘটনার জেরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দিনে দিনে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে পরিণত হচ্ছে। এই কিছুদিন আগে দোনেৎস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর কয়েকটি ট্যাংক ঢুকেছিল, সেখানে তাদের এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে।

রুশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার পরিবর্তে দোনেৎস্ক- লুহ- নিস্ক-ঝাপোরিজিয়া-খেরসনের বেসামরিক লোকজন ও স্থাপনাগুলোতে হামলায় তাদের উৎসাহ বেশি বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমনকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও তাদের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ‍‍`এভরিথিং ফর ভিক্টরি‍‍` নামের একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তলার এক বক্তৃতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এমন মন্তব্য করেন।

পুতিন বলেন, দোনেৎস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর কয়েকটি ট্যাংকের এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে বেশ কয়েক জন প্রান হারায়, তাদের প্রত্যেকের পরিবার-পরিজন ছিল। এসব কি নব্যনাৎসীবাদ নয়? সাধারণ বেসামরিকদের ওপর হামলা করে কী অর্জন করতে পারবে তারা, একমাত্র সন্ত্রাসীদের পক্ষেই এ ধরনের হামলা চালানো সম্ভব।

অন্যদিকে কিয়েবের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনিকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রকে এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সরকার। ইউক্রেন যুদ্ধের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করছেন জালুঝনি।

গেল বছর রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে একটি পালটা আক্রমণ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে এ আক্রমণে অঞ্চলটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সফল হতে পারে নি তারা। এরপর থেকেই বলে ধারণা করা হচ্ছে, জালুঝনিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এছাড়া, বিভিন্ন বিষয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছিলেন জালুঝনি।

মার্কিন কর্মকর্তারা ইউক্রেনকে জানিয়েছে, জালুঝনিকে বরখাস্ত করার বিষয়ে বিরোধিতা করছেন না তারা। তবে জালুঝনিকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেনি হোয়াইট হাউজ। এ বিষয়ে কথা বলার আগে পরিচয় গোপন রাখার শর্ত দিয়ে মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের অবস্থান এমন ছিল আমরা তাদের সার্বভৌম সিদ্ধান্তকে সমর্থন করিনি, আবার এর বিরোধিতাও করিনি।

এছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেন বাহিনীর গোলাবারুদের গুরুতর সংকটে রয়েছে । দেশটির বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকেও অস্ত্রের সরবরাহ কমে গেছে। ইউক্রেনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন জালুঝনি। সেখানে ‍‍`আয়রন জেনারেল‍‍` নামে খ্যাত তিনি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পদ থেকে তার অপসারণ রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করা সেনাদের মনোবল ভেঙে দিতে পারে। পশ্চিমা এবং ইউক্রেনীয় মিডিয়ার খবরে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে জেলেনস্কির করা পদত্যাগের অনুরোধ, জালুঝনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

/বিআরইউ