অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের যুদ্ধে পাঠাচ্ছে জান্তা বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও বিদ্রোহীদের এই মধ্যে চলমান যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর চরম মাত্রার লড়াইয়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা একের পর এক ঘাঁটি হারাচ্ছে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে তারা।

তারই মধ্যে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী সক্রিয় করেছে রিজার্ভ ফোর্সেস আইন। এর মাধ্যমে অবসরে চলে যাওয়া প্রবীণ সেনা সদস্যদের আবারও যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনে পাঠানোর ক্ষমতা পেয়েছে তারা।

এর আগে জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, অনেক প্রবীণ সেনার আহ্বানে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ওইদিন বৈঠকে তিনি আরও বলেন, জাতীয় প্রতিরক্ষার স্বার্থে আবারও দায়িত্বে ফিরতে চান অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যরা।

মিয়ানমার ওয়ার ভেটেরান্স অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মিয়ানমারের এই সংগঠনটির দেশব্যাপী ৯১ হাজার ৬৭৭ সদস্য এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭২ জন সহায়ক সদস্য ছিলেন। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ৩৩০টি শহরের মধ্যে ৩০৮টিতে এই সংগঠনের শাখা রয়েছে।

জান্তা প্রধান আরও বলেন, অবসরে যাওয়া সমস্ত প্রবীণ সৈনিককে সক্রিয় দায়িত্বে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। যারা যোগ্য এবং উপযুক্ত তাদেরই যুদ্ধের ময়দানে ফেরত পাঠানো হবে।

এদিকে জান্তা-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলছে, যারা গত পাঁচ বছরে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ বা অবসর গ্রহণের অনুমতি পেয়েছে তারা রিজার্ভ ফোর্সে কাজ করার জন্য বাধ্য। তবে তাদের সবাইকে সক্রিয় দায়িত্বে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। যাদের সত্যিকার অর্থে দেশের জন্য প্রয়োজন তাদেরকেই ‘সেবা করার’ অনুমতি দেওয়া হবে।’

এমন আইনের অধীনে সকল সাবেক সামরিক কর্মীকে পাঁচ বছরের জন্য রিজার্ভ বাহিনীতে কাজ করতে হবে। তবে সামরিক বাহিনীর প্রধান ‘রাষ্ট্রের স্বার্থে’ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় তাদের চাকরির মেয়াদ বাড়াতে পারেন।

এই আইনে অবশ্য তাদের সেবার মেয়াদ কতদিন বাড়ানো যাবে তা বলা হয়নি। যদি সাবেক সেনা সদস্যরা রিজার্ভ ফোর্সে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তিন বছরের জেল বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিআরইউ