মালয়েশিয়ায় অভিবাসন বিভাগের অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৩২ আনডকুমেন্ট অভিবাসীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। দেশটির অভিবাসন বিভাগ আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সকালে সেতিয়া আলমের পাম বাগানে একটি বসতিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল (অভিযান) জাফরি এমবোক তাহা বলেন, ভোর ২টা ৩৮ মিনিটে শুরু হওয়া অভিযানে ১৩০ ইন্দোনেশিয়ান এবং দুই বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। ১৩০ জন ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ৭৬ জন পুরুষ, ৪৬ জন নারী এবং ১৩ জন শিশু রয়েছে। সকালে দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জাফরি আরো বলেন, অধিদপ্তরের গোয়েন্দা তথ্য এবং অভিযোগের ফলাফলে দেখা গেছে, গত চার বছর ধরে অবৈধ বসতি স্থাপন করে অভিবাসীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে এলাকাটি ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। অভিযানের সময় কেতুয়া কাম্পুং (গ্রাম প্রধান) দাবি করেছেন, তারা ০.৬ হেক্টর জমির ভাড়ার জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৬ হাজার রিঙ্গিত ভাড়া দিয়ে আসছিল।
এই বসতিতে বিভিন্ন দোকান, খাবারের স্টল এবং সুরাউ রয়েছে। এই অভিবাসীদের বেশিরভাগই আশপাশের এলাকায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী, রেস্টুরেন্ট সহকারী এবং নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অভিযানে জেনারেল অপারেশন ফোর্স (জিওএফ) এবং জাতীয় নিবন্ধন বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থার ২২০ জন কর্মীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আটকদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে তদন্ত চলছে।
জমির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, জাফরি বলেন, অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৫৫ই (১) এর অধীনে আরও পর্যালোচনা করা হবে। মালয়েশিয়ায় অনিয়মিত অভিবাসীদের ধরতে সম্প্রতি দেশজুড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার অভিবাসী আটক করছে। এদের বেশিরভাগেরই বৈধ ডকুমেন্টস থাকায় পরে ছাড়া পেয়ে যায়।
তবে অনেক সময় অভিবাসীদের পাসপোর্ট ও ভিসা মালিকের কাছে জমা থাকে অথবা সাথে রাখা সম্ভব হয় না অভিযানের সময় পাসপোর্ট ও ভিসা না দেখাতে পারলে তাদেরকেও আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিআরইউ