জলদস্যুদের কবল থেকে ছিনতাই জাহাজ উদ্ধার করল ভারতীয় নৌবাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৪, ০৯:১২ এএম

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে ১৭ নাবিকসহ একটি বাণিজ্যিক জাহাজ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ৩৫ জলদস্যুর সবাই আত্মসমর্পণ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই জাহাজ থেকেই জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের দখলে নিয়েছে।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের এক পোস্টে এ তথ্য জানায় ভারতীয় নৌবাহিনী। পোস্টে জানানো হয়, এমভি রুয়েন নামের বাল্ক ক্যারিয়ারের মাল্টার পতাকাবাহী এই জাহাজকে ভারতীয় উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে এটি ছিনতাই হয়। খবর আল জাজিরার

ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার প্রথম তারা এমভি রুয়েনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে জলদস্যুদের সবাইকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। একপর্যায়ে জাহাজটিতে থাকা ৩৫ জলদস্যুর সবাই তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। জাহাজটিতে কোনো ধরনের অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ বা মাদক রয়েছে কি না, তা তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে।

এই অভিযানে ভারতীয় নৌবাহিনীর বিশেষ কমান্ডোরাও অংশ নেন বলে বাহিনীর পক্ষে একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। নৌবাহিনী এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,  যোগ করেন তিনি।

গত মঙ্গলবার ২৩ নাবিকসহ ভারতীয় মহাসাগর থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের দখলে নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নৌবাহিনী ধারণা করছে, এমভি আবদুল্লাহকে ছিনতাই করতে এমভি রুয়েনকে ভারত মহাসাগরে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

২০১৭ সালের পর থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সোমালিয়ার জলদস্যুদের বিরুদ্ধে এটিই একমাত্র সফল অভিযান। এডেন উপকূল ও ভারত মহাসাগরে আর্ন্তজাতিক নৌবাহিনীর কঠোর টহলের সময়ও তারা জাহাজ ছিনতাই করতো।

পশ্চিমা শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে ইয়েমেন ও ইরান সমর্থিত হুতিরা লোহিত সাগরে আক্রমণ শুরু করে। জলদস্যুদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রদানে ভারত লোহিত সাগরের পূর্ব দিকে অন্তত এক ডজন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। সাম্প্রতিক হামলার পর ভারতের নৌবাহিনী আরব সাগরে নজরদারি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এইচআর