ব্রিটিশ সেনা সদস্য ও কর্মকর্তারা এখন থেকে দাড়ি রাখতে পারবেন। একশ বছরের বেশি সময় ধরে ক্লিন-শেভ করার রেওয়াজ চলছে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে। এবার দাড়ি রাখার ওপর সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দাড়ি ও গোঁফ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুবিন্যস্ত রাখতে হবে। বিষয়টি নিয়মিত নজরদারিও করা হবে।
ব্রিটিশ বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছে, টানা কয়েক বছর বিষয়টি নিয়ে নীতি পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে আকৃষ্ট করা সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, এ নীতি গ্রহণের পরও নির্দিষ্ট কিছু অনুষ্ঠানে বা প্রয়োজনে সেনা এবং কর্মকর্তাদের শেভ করার নির্দেশ দেওয়া হবে। এর আগে ডেনমার্ক, জার্মানি এবং বেলজিয়ামের মতো কয়েকটি দেশের সেনাবাহিনী সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়।
যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে সেনাবাহিনীই সবার পরে দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই দেশটির নৌবাহিনীতে দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছে এবং বিমান বাহিনী ২০১৯ সালে দাড়ির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু সেনাবাহিনী এ বিষয় কঠোর নীতি বজায় রেখেছিল।
এর আগে কার্যকারিতা, স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলবে না এমন শর্তে শিখ, মুসলিম ও রাস্তাফারিয়ানদের মতো কয়েকটি নির্দিষ্ট ধর্মের সেনাদের দাড়ি রাখার অনুমতি দিয়েছিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনী।
এর আগে, গত বছর যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সেনাবাহিনীতে দাড়ি নিষিদ্ধ করা হাস্যকর।’
আরএস