ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে ৩৪ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৪, ০৬:২০ পিএম

প্রবল বর্ষণে কারণে সৃষ্ট বন্যার ফলে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এর ফলে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ইন্দোনেশিয়ার প্রাদেশিক উদ্ধারকারী দলের প্রধান আব্দুল মালিক রয়টার্সকে জানান, ‘‘(বন্যা এবং ভুমিধসের ঘটনায়) ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। চারজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।‍‍`‍‍` পরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪-এ। এখনো পর্যন্ত ১৬ জনের খোঁজ মেলেনি।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, " ৩৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়েছেন। আমরা এখনো ১৬ জনের সন্ধানখোঁজ করছি।"

দেশের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা সংস্থা বিএনপিবি জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে বন্যার ফলে তানাহ দাতার রিজেন্সির পাঁচটি উপ-জেলা প্রভাবিত হয়েছে। বন্যার সঙ্গে প্রচুর কাদা এসে ব্যাপক এলাকা ঢাকা পড়েছে।

বিএনপিবি জানিয়েছে, তাদের সর্বশেষ মূল্যায়নে ৮৪টি আবাসন, ১৬টি সেতু এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে ভারি সরঞ্জামের মাধ্যমে দ্রুত রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

শনিবার মাঝরাতে মাউন্ট মেরাপিরনদীর শাখা ভেঙে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। টানা বৃষ্টি এবং ভূমিধসের ফলে পশ্চিম সুমাত্রার আগাম এবং তানাহ দাতার জেলার পাহাড়ি গ্রামে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেছেন, কমপক্ষে ১০০টি বাড়িঘর ভেসে গেছে।

বার্তাসংস্থা এপির খবরে বরা হয়, প্রবল বর্ষণ, ঠান্ডা লাভার প্রবাহ এবং কাদার স্রোত আগ্নেয়গিরির ঢাল বেয়ে নামায় আকস্মিক বন্যার সূত্রপাত ঘটেছে। ঠান্ডা লাভার স্রোত লাহার নামেও পরিচিত। এটি আগ্নেয় পদার্থ এবং নুড়ির মিশ্রণ, যা বৃষ্টির ফলে মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরির ঢালে প্রবাহিত হয়েছিলো।

আরএস