সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় বিএসএফের পক্ষ থেকে এই অনুরোধ জানানো হলো।
এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমানার নিশ্ছিদ্র রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চলের জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও বদ্ধপরিকর। গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিযুক্ত বিশেষ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর বিএসএফ এই অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
বিএসএফ জানিয়েছে, ১২ আগস্টের পর থেকে বিএসএফ ও বিজিবির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ৭২২ দফায় বৈঠক করেছেন। বিবৃতিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী দুর্বল সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে একযোগে ১ হাজার ৩৬৭টি সমন্বিত টহল (এসসিপি) পরিচালনা করেছে।
বিবৃতিতে বিএসএফ বলেছে, এসব সীমান্ত বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। বিজিবি ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উভয় বাহিনীর কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগে করে চলেছেন এবং বাস্তব সময়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন অপারেশনাল তথ্য আদান-প্রদান করছেন। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএসএফের কলকাতা-সদর দপ্তর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক, হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
বিআরইউ