পদত্যাগ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪, ১২:২৮ এএম

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আন্দোলনের জের ধরে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরজি কর কাণ্ডকে কেন্দ্র করে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাঁর পদত্যাগ দাবি করে আসছিল বিরোধীরা।

আনন্দবাজারসহ ভারতীয় অন্যান্য গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পদত্যাগের ইঙ্গিত দেন মমতা।

বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। কিন্তু আশা করি, মানুষ বুঝেছেন, ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়।’

এর আগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় ভবন নবান্নে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করেছিলেন মমতা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকেরা বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় এই অপেক্ষা ভেস্তে গেছে। এরপরই সাংবাদিকদের মমতা বলেন, ‘ওদের অনেকে বৈঠকে যোগ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাইরে থেকে নির্দেশ এসেছে। তাই বৈঠক হলো না।’

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এর আগে পর পর দু’দিন তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয়বারের মতো তিনি বৈঠক করতে ব্যর্থ হলেন।

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলাটির শুনানি চলছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে। গত সোমবার মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই সময়ের মধ্যে কাজে না ফিরলে রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও জানিয়ে দেন আদালত। কিন্তু সোমবার দুপুর থেকেই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে বসে আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার মমতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছু পেশার মানুষের সমাজের প্রতি আলাদা করে দায়বদ্ধতা রয়েছে। ডাক্তারি পেশা তেমনই। আমি তিন বার চেষ্টা করলাম। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে। তারপরও মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না।’

মমতা জানান, গত ৩২ দিন ধরে চলা আন্দোলনে ইতিমধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে ৭ লাখ মানুষ। তিনি বলেন, ‘যে কোনো মৃত্যু মর্মান্তিক। কিন্তু এত মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এর থেকে লজ্জার কী হতে পারে?’

ইএইচ