ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। স্থলে আক্রমণের পাশাপাশি বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার দেশটি।
বুধবার (২ অক্টোবর) আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানান।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অন্তত ৫১ জন ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। লেবাননে বিমান ও স্থল আক্রমণের পাশাপাশি গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এসব এ হামলায় ফিলিস্তিনের মধ্যে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজা শহর, তুফাহ পাড়ার মাস্কাট স্কুল ও পশ্চিমে আল-আমাল এতিমখানায় হামলা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, এসব স্থানে আশ্রয় নেওয়া অন্তত নয়জন বাস্তুচ্যুত লোক নিহত হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মধ্য গাজার ‘ব্রিগ হাই স্কুলে’ হামলার ঘোষণা দিয়েছে। সেখানে হামলা হয়েছে কিনা পরিষ্কার নয়। কেননা, সেখান থেকে কোনো মৃত্যুর সংবাদ পায়নি আল জাজিরা।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, যে স্থানগুলো টার্গেট করা হয়েছে তার মধ্যে দুটি স্কুল ও একটি এতিমখানা হামাসের ‘কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল কমপ্লেক্স’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেখানেই হামাস নিজেদের পরিকল্পনা ও অপারেশন পরিচালনা করছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসেও বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। শহরের ইউরোপীয় হাসপাতাল জানিয়েছে, এখানে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা কয়েক ডজন।
হাসপাতালের রেকর্ড অনুসারে নিহতদের মধ্যে সাতজন নারী ও ১২ শিশু। শিশুগুলোর বয়স ২২ মাসের কাছাকাছি। বাকিরা সবাই পুরুষ।
স্থানীয় একটি হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের প্রধান ডা. সালেহ আল-হামস বলেছেন, নিহত ও আহতদের খান ইউনিসের ইউরোপীয় ও নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন তিনি।
আরএস