জাপানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দিচ্ছেন জনগণ। রোববার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কয়েক বছর ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার পর অবশেষে নতুন নেতা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন জাপানের নাগরিকরা। তবে এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোট লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে। বিভিন্ন জরিপ থেকে এমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে গত মাসে এলডিপির প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন ইশিবা। সাত দশক ধরে তার দল জাপানের শাসন ক্ষমতায় রয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আজকের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাপানে ইশিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির এক দশকের আধিপত্য শেষ হতে পারে।
মূলত জাপানে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ইশিবার জোট সরকার। জাপানে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে চলছে। অন্যদিকে প্রতিবেশী চীনের সাথে সম্পর্কের উত্তেজনাও বাড়ছে।
এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করতে পারেন ইশিবা। এতে তিনি দেশটির সবচেয়ে কম সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী হবেন।
অন্যদিকে এলডিপিকে চ্যালেঞ্জ করছে জাপানের কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (সিডিপি)। এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোডা।
শনিবার নোডা এক সমাবেশে বলেন, এলডিপির নীতিগুলো হলো দ্রুত বাস্তবায়নের, যার জন্য জনগণকে নগদ অর্থ দিতে হয়, আর যারা অর্থ খরচ করতে পারে না তাদেরকে অবহেলা করা হয়। এই ধরনের নীতির অবশ্যই পরিবর্তন হওয়া উচিত।
বিআরইউ