গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতা করা থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে কাতার। দেশটি বলেছে, বিবাদমান দুই পক্ষ হামাস ও ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য ‘তাদের সদিচ্ছা ও গুরুত্ব’ প্রদর্শন না করা পর্যন্ত এ প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকবে তারা। খবর আলজাজিরার।
শনিবার (১০ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, কাতার বিষয়টি ১০ দিন আগেই সংশ্লিষ্ট পক্ষদের জানিয়েছে।
এর আগে শনিবার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, কাতারে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় আর সেটির উদ্দেশ্য পূরণে কাজ করে না। তবে, মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলো ভুল ছিল। কাতারে থাকা হামাসের অফিসের মূল লক্ষ্য হলো সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে যোগাযোগের চ্যানেল হিসেবে কাজ করা।
কাতারে হামাস অফিসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, কাতারের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা স্থগিতের ব্যাপারে তারা অবগত। তবে, কেউ তাদের অফিস ছেড়ে যেতে বলেনি।
ওয়াশিংটন ডিসিতে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন দুই সপ্তাহ আগে কাতারকে জানিয়েছিল, দোহায় হামাস অফিসের কার্যক্রম চালু রাখতে দেওয়া আর ঠিক হবে না। হামাসের প্রতিনিধি দলকে সেখান বিতাড়িত করা উচিত।
মার্কিন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করার পর [হামাস] নেতাদের আর কোনো আমেরিকান অংশীদারের রাজধানীতে (দোহা) স্বাগত জানানো উচিত নয়। কয়েক সপ্তাহ আগে জিম্মি মুক্তির আরেকটি প্রস্তাব হামাস প্রত্যাখ্যান করার পর আমরা কাতারকে তা স্পষ্ট করে দিয়েছি।’
ওই কর্মকর্তা বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব কথা বলেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবশ্য এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। দীর্ঘদিন চেষ্টার পরও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা বৃদ্ধির কাতার এ ঘোষণা দিলো।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ এবং লেবাননে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিতে গতকাল রাতে হিজবুল্লাহর কমান্ড সেন্টার এবং অন্যান্য অবকাঠামোগুলোতে হামলা করেছে।
অন্যদিকে, গাজায় শনিবার পৃথক তিনটি ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা।
বিআরইউ