প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। শনিবার ওডিশার আবুল কালাম দ্বীপ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রোববার (১৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপির
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি একটি অস্ত্র। এগুলো বায়ুমণ্ডলের খুব নিচ দিয়ে উড়ে যেতে পারে। রাডারে শনাক্ত করাও সাধারণ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় কঠিন। এ ছাড়া এই ক্ষেপণাস্ত্র দ্রুত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এবং প্রয়োজন পড়লে মাঝপথে লক্ষ্য পরিবর্তনও করতে পারে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা এবং শিল্প অংশীদারদের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য তৈরি করা ক্ষেপণাস্ত্রটি ১ হাজার ৫০০ (৯৩০ মাইল) কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়া এরই মধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এ তালিকায় এবার নাম লেখাল ভারত। বিবৃতিতে রাজনাথ সিং বলেন, ‘দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে সফলতার মধ্য দিয়ে বড় একটি মাইলফল অর্জন করেছে ভারত।’
কিছুদিন আগে এক প্রদর্শনীতে নিজেদের অত্যাধুনিক অস্ত্রগুলো সামনে এনেছিল চীন। গোপনে হামলা চালাতে সক্ষম জে–৩৫এ যুদ্ধবিমান এবং হামলার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ড্রোন সেখানে প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো সামনে আনা হয় এইচকিউ–১৯ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা।
বিগত বছরগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিরক্ষাবিষয়ক সহযোগিতা জোরদার করেছে নয়াদিল্লি। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোয়াড জোটেও রয়েছে দেশটি।
বিআরইউ