যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পালটা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে ব্যবহূত একটি দুর্লভ খনিজ উপাদান রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। এছাড়া চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩টি মার্কিন সামরিক কোম্পানি ও ছয় জন নির্বাহীর বিরুদ্ধে পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয়।
গতকাল চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র লিন চিয়ান বলেন, তাইওয়ান ইস্যু চীনের কেন্দ্রীয় স্বার্থের মূল অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র অনেকবার চীনের তাইওয়ান অঞ্চলে অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে, যা এক চীন নীতি ও চীন-যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি যৌথ ঘোষণাকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছে, চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হস্তক্ষেপ করেছে এবং চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিদেশি নিষেধাজ্ঞা বিরোধী আইন অনুসারে চীন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কোম্পানি ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’ প্রচেষ্টা তাইওয়ান প্রণালির শান্তি গুরুতরভাবে হুমকি সৃষ্টি করছে। যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ তাইওয়ানকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে। চীন তাগিদ দেয় যে, যুক্তরাষ্ট্র এক চীন নীতি ও চীন-যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি যৌথ ঘোষণা মেনে চলবে, শিগিগর তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি এবং ‘তাইওয়ান স্বাধীনতাকামী’ শক্তিকে সমর্থন বন্ধ করবে।
উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর চীনের কাছে সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ বিক্রিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সেমিকন্ডাক্টর চীনের হাতে গেলে তা দিয়ে চীন নতুন অস্ত্র ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারে। সেই সঙ্গে চীনের বিভিন্ন কোম্পানির কাছে মার্কিন প্রযুক্তি বিক্রির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
বিআরইউ