অভিশংসিত হলেন দ. কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের সপ্তাহ দু-একের মাথায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সুকে অভিশংসিত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা। আজ শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের অভিসংশন নিয়ে ভোটাভুটি হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেওয়া তথ্যমতে, তাকে অভিশংসনের জন্য ১৫১ ভোটের প্রয়োজন ছিল। তবে হান ডাক-সুকে অভিসংশনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৯২ জন।

শুক্রবার ভোটের সময় পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পার্লামেন্টের স্পিকার উ ওন-শিক ঘোষণা দেন, অভিশংসন বিল পাসের জন্য ১৫১ ভোট পক্ষে পড়লেই হবে। এটি শুনে ইউন ও হানের ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির (পি) আইনপ্রণেতারা ক্ষোভ জানান।

ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতারা ভোট কক্ষের মাঝখানে জড়ো হন।

তারা ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় স্পিকারের পদত্যাগের দাবিও করেন তারা। তাদের বেশিরভাগই ভোট বর্জন করেন।
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৭০টি ডেমোক্রেটিক পার্টির দখলে।

আর ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ বিরোধী দলীয় জোটের দখলে আছে ১৯২টি আসন।
চলতি মাসের শুরুতে সামরিক আইন জারির ব্যর্থ চেষ্টার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইউন পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন। এরপর ৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী হান ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন।

অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল হানের; কিন্তু বিরোধী সাংসদরা তাতে বাধ সাধলেন। তাদের কথা হলো, ইউনের অভিশংসন প্রক্রিয়া সম্পন্নের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট।

এখন পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে অভিশংসনের প্রজ্ঞাপন দিলেই হানকে তার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হবে। তবে ইউনের মতো হানের অভিশংসনের ক্ষেত্রেও সাংবিধানিক আদালতের অনুমোদন নিতে হবে। পার্লামেন্টে অভিশংসনের পক্ষে যে রায় এসেছে, তা বহাল রাখা উচিত কি না, সে প্রশ্নে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য সাংবিধানিক আদালত ১৮০ দিন সময় পাবে।

অভিশংসনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হান বলেন, ‘আমি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। এখন সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা।’

ইউনের অভিশংসন মামলা বিচারের জন্য পার্লামেন্টের বেছে নেওয়া তিন বিচারকের নিয়োগ হান আটকে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা।

কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত সাধারণত ৯ সদস্যের বেঞ্চ নিয়ে গঠিত হয়। পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত বহাল রাখতে হলে অন্তত ছয়জন বিচারককে ইইউনের অভিশংসনের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।

বেঞ্চে বর্তমানে ছয়জন বিচারক রয়েছেন, তার মানে তাদের যে কোনো একজন অভিশংসনের বিরোধিতা করে ইউনকে অপসারণ হাত থেকে বাঁচাতে পারেন।

বিআরইউ