ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার পুলিশ প্রধান নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম

নতুন বছরেও থেমে নেই ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার আগ্রাসন। সবশেষ অবরুদ্ধ উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে আল-মাওয়াসি এলাকার একটি মানবিক নিরাপদ জোনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে গাজার পুলিশ বিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদ সালাহ এবং তার সহযোগী হুসাম শাহওয়ানও রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) ভোরের আলো ফোটার আগে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ব্রিটিশ সংবাদসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেখানে হামলা হয়েছে ওই অঞ্চলটিকে গাজা আগ্রাসনের শুরুর দিকে একটি নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। অসহায় ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তারা। নিহতদের মধ্যে তিন শিশু ও দুজন নারীও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

হামলা পরবর্তী একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, আশ্রয় শিবিরের ক্ষতিগ্রস্ত তাঁবুগুলো জ্বলছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ ও কাপড় শুকানোর জন্য টাঙানো তারগুলোর মাঝখানে জীবিতদের খুঁজছে লোকজন।

হামাস পরিচালিত আল-আকসা টিভি জানিয়েছে, বিমান হামলায় সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি গাজার পুলিশ বিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদ সালাহ এবং তার সহযোগী হুসাম শাহওয়ান নিহত হয়েছেন।

এদিকে মানবিক নিরাপদ জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় তাদের হামলা চালানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এলাকাটিতে যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও কামানের মাধ্যমে এর আগেও হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এর মধ্যে গত ২২ ডিসেম্বর আটজন প্রাণ হারিয়েছে এক হামলায়।

এর কয়েকদিন আগে, দক্ষিণের রাফা শহর থেকে ইসরায়েলি ট্যাংক অগ্রসর হওয়ার ফলে আল-মাওয়াসি এলাকার বহু পরিবার উত্তর দিকে পালিয়ে যায়। আসন্ন হামলার ভয়ে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় তারা। এছাড়া নতুন বছরের প্রথম দিনে গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে চারটি শিশু ও একজন নারী ছিলেন।

আরএস