ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে আসার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কোনো যোগাযোগ হয়নি। অর্থাৎ ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর দেশ দুইটির মধ্যে কোনো বার্তা আদান-প্রদান হচ্ছে না। ইরানের এক শীর্ষ কূটনীতিক এমন তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তখত-রাভাঞ্চি এক স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, মাত্র কয়েক দিন হলো যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতাগ্রহণ করেছে। এই সময়ে দুই দেশের মধ্যে কোনো বার্তা বিনিময় হয়নি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ নীতি প্রয়োগ করেন এবং ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন।
মাজিদ তখত-রাভাঞ্চি বলেন, আমাদেরকে ধৈর্য ও শান্তভাবে পরিকল্পনা করতে হবে। অন্য সাইড থেকে যখন নীতি বা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে তখন সে অনুযায়ী আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প আশা প্রকাশ করে বলেন, ইরানের পারমাণবিক সুবিধায় সমারিক হামলা পরিহার করা হবে। এ সময় তিনি একটি চুক্তিরও আশা প্রকাশ করেন।
ঐতিহাসিক ওই চুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে ইরান বারাবারই ইচ্ছা প্রকাশ করছে। গত বছরের জুলাইতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন মাসুদ পেজেসকিয়ান। এরপর তিনি ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান।
চলতি মাসের শুরুতে ইরানের কর্মকর্তারা ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করে। এ সময় উভয় পক্ষ আলোচনাকে খোলাখুলি ও গঠনমূলক বলে আখ্যায়িত করেছে।
এদিকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট অর্থাৎ ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন সংকট এড়ানো যেতো বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই সংঘাত নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমি ট্রাম্পের সঙ্গে একমত যে ২০২০ সালে যদি তার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া না হতো তাহলে ২০২২ সালে ইউক্রেনে যে সংকট দেখা দিয়েছিল তা হয়তো হতো না। -সূত্র: এএফপি
আরএস