সুদানে ভয়াবহ সংঘর্ষ, নিহত অন্তত ৬৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ১০:৩৪ এএম

দক্ষিণ ও পশ্চিম সুদানে চলমান সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। সোমবার সংঘর্ষে অন্তত ৬৫ জন নিহত এবং ১৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে দেশটির চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

আফ্রিকার এই দেশটিতে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিধ্বংসী যুদ্ধ চলছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, দেশটির সাউথ কর্ডোফান প্রদেশের রাজধানী কাদুগলিতে কামানের গোলাবর্ষণে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে দুটি চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে। সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এই শহরটিতে আক্রমণের ঘটনায় আবদেল আজিজ আল-হিলুর নেতৃত্বাধীন সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ (এসপিএলএম-এন) এর একটি দলকে দায়ী করেছেন গভর্নর মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি এএফপিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‍‍`কাদুগলিতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হিলুর হামলার উদ্দেশ্য‍‍` হচ্ছে এলাকাটিকে অস্থিতিশীল করা। তিনি বিদ্রোহী বাহিনীর কবল থেকে ‍‍`কাদুগলির চারপাশের পাহাড়গুলো সাফ‍‍` করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

গভর্নর আরও বলেছেন, স্থানীয় একটি বাজারকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।

সুদান ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সংঘাতে জর্জরিত হয়েছে, তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে।

এদিকে দারফুরের বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলে দক্ষিণ দারফুরের রাজধানী নিয়ালায় সামরিক বিমান হামলায় সোমবার ২৫ জন নিহত এবং আরও ৬৩ জন আহত হয়েছেন বলে একটি মেডিকেল সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে।

নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি এএফপিকে জানিয়েছে, আরএসএফের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা ‘নিয়ালার সিনেমা ডিস্ট্রিক্ট’ এ হামলাটি হয়। উত্তর দারফুরের অবরুদ্ধ রাজধানী এল-ফাশার থেকে ১৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নিয়ালাসহ দারফুরের বেশিরভাগ অংশে আরএসএফের আধিপত্য রয়েছে।

এছাড়া এল-ফাশারে অঞ্চলটিতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস করেন, যারা গত বছরের মে মাস থেকে আরএসএফ অবরোধের মধ্যে রয়েছেন।

বিআরইউ