ছয় ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির পর ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি স্থগিত করেছে ইসরায়েল। শনিবার তাদের মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, পরবর্তী জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত রাখা হয়েছে।
গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার সময় অপহৃত চারজনসহ ছয় জিম্মিকে শনিবার মুক্তি দেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “অবমাননা অনুষ্ঠান” ছাড়াই পরবর্তী জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি বিলম্বিত হতে পারে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে এখন মাত্র একদফা জিম্মি বিনিময় বাকি রয়েছে। এর মধ্যে চারজন রয়েছেন যারা বন্দিদশায় মারা গেছেন।
এর আগে, হামাস জানিয়েছিল যে সম্মত সময়ে সপ্তম ব্যাচের ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তিতে ইসরায়েলের বিলম্ব যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে মুক্তির জন্য নির্ধারিত ছয় জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পর তেল আবিবে ইসরায়েলি বিক্ষোভকারীরা অবশিষ্ট সকল বন্দির মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধ অভিযানে ৪৮,৩১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,১১,৭৪৯ জন আহত হয়েছেন।
সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্যমতে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা কমপক্ষে ৬১,৭০৯ জন হতে পারে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ১,১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্দি করা হয়।
ইএইচ