জম্মু ও কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলার প্রতিক্রিয়া এবং সম্ভাব্য জবাব নিয়ে দেশটির তিন বাহিনীর প্রধান, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) অনিল চৌহান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লির প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার তিনি মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি (সিসিএস)-র সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসবেন।
টাইমস নাউ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে মোদি বলেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও সক্ষমতার ওপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সেনাপ্রধানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘কখন, কোথায় এবং কীভাবে আঘাত হানতে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা তাদের রয়েছে।’
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদের ধ্বংসাত্মক আঘাত ভারতের জাতীয় সংকল্পের প্রতি চ্যালেঞ্জ।" এই বক্তব্যের মাধ্যমে মোদি জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও প্রধানমন্ত্রীর দিল্লির বাসভবনে পৌঁছান।
কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। তবে পাকিস্তান সরকার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামায় জইশ-ই-মোহাম্মদের হামলায় ভারতের ৪০ জন সিআরপিএফ সদস্য নিহত হন। তার জবাবে ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মোহাম্মদের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছিল। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, এই গোষ্ঠী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহায়তায় কাজ করে এবং ভারতীয় সেনা হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।
ইএইচ