দুদকের দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপক (চাকরিচ্যুত) শাহ মো. জোবায়েরকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঞা আসামির অনুপস্থিত এ রায় ঘোষণা দেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়াসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত শাহ মো. জোবায়ের টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডে কর্মরত থাকাবস্থায় বেতন ভাতা বাবদ ৫৯ ষাট লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৪৩ টাকা উপার্জন করেন।
অপরদিকে রাজধানীর উত্তরার এইচএসবি শাখায় সঞ্চয়ী হিসাবে বেতন বহির্ভূত দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা করে এফডিআর এ রুপান্তর করেন।
এছাড়া প্রাইম ব্যাংক গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯৮ দশমিক ৫৯ টাকা জমা করেন। যার মধ্যে ৩১ লাখ ২০ হাজার টাকার এফডিআর ও ৪ লাখ ২৭ হাজার ২৬৫ টাকা ৩৭ টাকা অন্যত্র স্থানান্তর করেন।
আসামি ব্র্যাক ব্যাংক নর্থ গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা জমা ও উত্তোলন করেন। বেসিক ব্যাংক গুলশান শাখার হিসাবে আসামি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জমা ও উত্তোলন করেন।
এছাড়া ইসলামী ব্যাংক মিরপুর-১ শাখায় আসামি দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৫ লাখ টাকা জমা ও উত্তোলন করেন এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক গুলশান শাখায় আসামি একশ তিন দশমিক ০১ টাকা জমা ও উত্তোলন করেন। এভাবে আসামি জোবায়ের বেতন-ভাতাদি বাদে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সর্বমোট ৫ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৭ টাকা অর্জন করে এবং অন্যত্র স্থানান্তর করেন।
এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন শাহ মো. জোবায়েরকে আসামি করে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর গুলশান থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১৮ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান। ২০১৯ সালের ১৩ জুন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আমারসংবাদ/টিএইচ