আদালত অবমাননার অভিযোগ

কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২২, ০২:১২ পিএম

কক্সবাজারের ঝিলনজা, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টসহ সমুদ্র সৈকতের অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশিদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। 

১৯ অক্টোবর সশরীরে হাজির হয়ে আদালতের আদেশ অমান্যের বিষয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) পাঁচজনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, উপপরিচালক, টাউন প্লানার তানভির হাসান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মজিবর রহমান।

এদিন আদালত অবমাননার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তুষার কান্তি রায়।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

নোটিশে বলা হয়, কক্সবাজার সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখতে সেখান থেকে সব অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ করার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থে এইচআরপিবি আদালতে রিট মামলা দায়ের করলে আদালত রায় দেন। 

রায়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নির্দেশনা দেন। জনস্বার্থ বিবেচনা করে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৭ জুন বিবাদিদেরকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেও এখনও তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়নি।

এতে আরও বলা হয়, কয়েক দিন আগে এইচআরপিবির প্রতিনিধি সমুদ্রসৈকত এলাকায় পর্যবেক্ষণে গেলে সৈকত এলাকায় অনেক অবৈধ দখল ও স্থাপনা দেখতে পান। 

যদিও এর আগে রায় হওয়ার পরে আদালতের নির্দেশে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। বর্তমানে ওই দখল ও স্থাপনা ভাড়া দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা আয় করছেন, কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যা আদালত অবমাননার শামিল।


আমারসংবাদ/টিএইচ