দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে ছয় মাসের জামিন দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন।
আদালতে হারুন-অর-রশিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) হারুন-অর-রশিদকে ছয় মাসের জামিন দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
এই জামিন স্থগিত চেয়ে বুধবার (৩১ আগস্ট) আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। তবে জামিন বহাল রাখেন চেম্বার জজ আদালত।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় চলতি বছরের ১২ মে রায় দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। এতে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড ও সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন-অর-রশীদ।
এছাড়া রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২শ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে দেওয়া হয় সাজা। ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন পলাতক রয়েছেন।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করেন।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।
টিএইচ