ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে আইনি নোটিশ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২, ০১:২২ পিএম

আগামী ৭ দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) আইনি নোটিশটি পাঠান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা বিবেচনা না করেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।

আইনি নোটিশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, ইলিশ মাছ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। কিন্তু বর্তমানে ইলিশ মাছের অত্যাধিক দামের কারণে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই ইলিশ মাছ কিনার কথা চিন্তাও করতে পারে না। 

অন্যদিকে দেশের মধ্যবিত্ত জনগণও এই ইলিশ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে ইলিশ মাছের দাম গড়ে ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি। 

এছাড়া ইলিশ মাছের মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু ইলিশ হল পদ্মা নদীর ইলিশ। বাজারে পদ্মার ইলিশের দাম গড়ে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি। 

কিন্তু পদ্মা নদী থেকে সীমিত পরিমাণ ইলিশ মাছ পাওয়া যায় এবং বাজারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পদ্মার ইলিশ পাওয়া যায় না বরং যেসব ইলিশ পাওয়া সেগুলো মূলত অন্যান্য নদীর ও সামুদ্রিক ইলিশ মাছ ।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় এই যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা না করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। 

ভারতে ইলিশ রপ্তানির ফলে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারগুলোতে ইলিশের দাম আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও দুঃখজনক বিষয় এই যে, বাংলাদেশের বাজারদরের চেয়ে কম মূল্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতে যে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে সেগুলো মূলত পদ্মার ইলিশ। এমনিতেই পদ্মা নদী থেকে সীমিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়। তাই এই পদ্মার ইলিশগুলো ভারতে রপ্তানির ফলে বাংলাদেশের বাজারগুলোতে পদ্মার ইলিশ যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না।

বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানি যোগ্য পণ্য নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ অন্যায্যভাবে, জনগণের স্বার্থ উপেক্ষা করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।


টিএইচ