বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী আজ এক বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর পুলিশী হামলা এবং আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে ভিন্নমতের `আইনজীবী ভোটারদের` তাড়িয়ে দিয়ে একপক্ষীয় তামাশার নির্বাচনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
পেশাজীবী নেতৃদ্বয় বলেন,মানুষের শেষ ভরসাস্থল হচ্ছে আদালত।ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য সবাই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। সে উচ্চ আদালত প্রাঙ্গনে এ ধরণের ঘটনা অত্যন্ত অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। বিচারালয়ে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এমন ন্যক্কারজনক হামলা সভ্য সমাজে কল্লনাও করা যায় না। এ ধরণের ঘটনা নাগরিকদের অসহায় করে তোলে। নিপীড়িত মানুষের আশ্রয় নেয়ার আর কোনো ভরসাস্থল থাকলো না। এভাবে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত আমাদের প্রিয় দেশটিকে মনুষ্য বসবাসে অযোগ্য করে ফেলা হচ্ছে।
পেশাজীবীদের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভিন্নমতের আইনজীবীদের উপর হামলা ও ভোট প্রদানে বাধা প্রদান রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহি:প্রকাশ বলে আমরা মনেকরি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের জনগনকে ভোট দিতে দেয়া হয় নি। তারই ধারাবাহিকতায় এখন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনেও ভোটারদের ভোট দিতে দেয়া হলো না। এরফলে `ভোটাধিকারহীন` এক `আজব গনতন্ত্র` এদেশের মানুষ উপভোগ করছে।
বিএসপিপি পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর এ ধরণের হামলার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার এবং নতুন করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের দাবি জানান। এব্যাপারে সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এআরএস